৯। ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করুন
- সপ্তাহে অন্তত একবার চুলে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করুন। এটি চুলের গভীরে পুষ্টি জোগায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঘরে তৈরি মাস্ক যেমন মধু ও দইয়ের মিশ্রণ, বা মধু ও ডিমের মাস্ক চুলের জন্য ভালো।
১০।মেহেদি বা হেনা ব্যবহার
- প্রাকৃতিকভাবে চুলকে কন্ডিশন করতে মেহেদি বা হেনা ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং একটি প্রাকৃতিক শাইনি লুক দেয়।
১১। অ্যালোভেরা জেল
- চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এনজাইম রয়েছে যা চুলের ক্ষতি রোধ করে। সরাসরি চুলে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
১২। এপল সিডার ভিনেগার রিন্স
- চুলের প্রাকৃতিক পিএইচ লেভেল বজায় রাখতে এপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন। এটি চুলের ফ্রিজি ভাব কমায় এবং চকচকে রাখে। ১ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুল ধোয়ার পর রিন্স হিসেবে ব্যবহার করুন।
১৩। সিল্কের বালিশের কাভার ব্যবহার করুন
- সিল্ক বা স্যাটিন বালিশের কাভার ব্যবহার করলে ঘুমের সময় চুলের ঘর্ষণ কমে এবং চুলের ভঙ্গুরতা কমে যায়। এতে চুল কম ঝরে এবং টেক্সচার ভালো থাকে।
১৪। কাস্টর অয়েল
- কাস্টর অয়েল চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চুলের জন্য খুব উপকারী। নিয়মিত কাস্টর অয়েল মাথার ত্বকে লাগালে চুলের ঘনত্ব বাড়ে।
১৫। ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
- চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বায়োটিন, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজনীয়। যদি খাদ্য থেকে এসব পুষ্টি পর্যাপ্ত পরিমাণে না পান, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
১৬। অ্যাভোকাডো মাস্ক
- অ্যাভোকাডো চুলের জন্য খুবই পুষ্টিকর। এতে ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি অ্যাভোকাডো চটকে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
১৭।গ্রিন টি স্প্রে
- গ্রিন টি চুলের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পড়া কমায়। গ্রিন টি ঠান্ডা করে চুলে স্প্রে করতে পারেন। এটি চুলকে স্বাস্থ্যকর ও মসৃণ রাখে।
৮।প্রোটিন ট্রিটমেন্ট
- চুলের ভঙ্গুরতা কমাতে মাঝে মাঝে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করুন। সবচেয়ে ভাল হবে ডিম ও মধুর মিশ্রণ তৈরি করে চুলে লাগান, এটি চুলের ভাঙ্গন রোধ করতে সাহায্য করবে এবং চুল মজবুত করবে।
এই টিপসগুলো চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়ক হবে। নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে চুল ঝলমলে, স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী থাকবে।